নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গয়েশপুর পদ্মলোচন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আল মামুন মিঞাকে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। এ বিষয়ে সভাপতি মোঃ মাসুম খান স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক নথি গত ১ ডিসেম্বর স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে জারি করা হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগের প্রমাণের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী ০১/১২/২০২৪ তারিখ থেকে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। পাশাপাশি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

{“remix_data”:[],”remix_entry_point”:”challenges”,”source_tags”:[],”origin”:”unknown”,”total_draw_time”:0,”total_draw_actions”:0,”layers_used”:0,”brushes_used”:0,”photos_added”:0,”total_editor_actions”:{},”tools_used”:{“transform”:1},”is_sticker”:false,”edited_since_last_sticker_save”:true,”containsFTESticker”:false}
১. অবৈধভাবে আয়ন ব্যয়ন কার্য ট্রেজারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করেন এবং নিয়োগ অবৈধ।
২. ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বোর্ড ফি ও কেন্দ্র ফি এর টাকা আত্মসাৎ।
৩. ২০২২ ও ২০২৩ সালে সরকারি বই বিধি লঙ্গন করে বিক্রি ও অর্থ আত্মসাৎ।
৪. বিধি মোতাবেক আয়-ব্যয়ের হিসাব না রাখা ভূয়া,বানোয়াট বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা।
৫. ভোকেশনাল শাখার মার্কসিট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ করা।
৬. সিলেবাস বিক্রি করে বিদ্যালয় ফান্ডে টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ ।
৭. ২০২৩ সালের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের টাকা আদায় করে অনুষ্ঠান না করে টাকা আত্মসাৎ ।
৮. বিধিবহির্ভূত ভাবে পুকুর লিজ ও ক্যান্টিন পরিচালনা করে অর্থ আত্মসাৎ।
৯. বিদ্যালয়ের ৩ জন নারী শিক্ষকদের ছুটি প্রদানে অনিয়ম করা ছুটি না দিয়ে তাদের বেতন ভাতা আত্মসাৎ ।
১০. ভোকেশনাল শাখার একটি ল্যাপটপ আত্মসাৎ করা।
১১. নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা গ্রহন ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ করা ।
১২. শিক্ষকদের বিএড স্কেল,উচ্চতর স্কেল,নতুন এমপিও লাগানোর জন্য রেজুলেশন করতে দেরী করা ও জোড় পূর্বক উৎকোচ গ্রহন করা।
নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয় সভাপতি মোঃ মাসুম খান জানান, “অভিযোগের সত্যতা মিললে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক আল মামুন মিঞা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো দেননি।