শিরোনাম :
নরসিংদীতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির সাফল্য: উপস্থিতি বৃদ্ধি ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে নতুন দিগন্ত মনোহরদীতে ৭ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে তিন কন্যার জন্ম পরিবারে আনন্দের বন্যা নরসিংদী-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে লড়বে সারোয়ার খান নরসিংদীতে জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা গ্রেফতার ১ পলাশে পূর্ববিরোধের জেরে বৃদ্ধ ও তার পুত্রকে কুপিয়ে গুরুতর জখম, থানায় অভিযোগ পলাশে জামায়াত প্রার্থী মাওলানা আমজাদ হোসেনের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা মনোহরদীতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে শাকিলের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের জরুরি সভায় বিতর্কিত সভাপতি বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা রায়পুরায় তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারণায় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম বাদল মনোহরদীতে শাহীন বৃত্তি ও ক্যাডেট একাডেমির আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘ ২৬ বছর পর গৃহে ফিরলেন আমেরিকা প্রবাসী সুমন; উৎসবের আমেজ

Reporter Name / ৩২৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :

দীর্ঘ ২৬ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ জন্মভূমি নরসিংদীর রায়পুরার নিজ গ্রামে ফিরেছেন প্রবাসী ও সমাজসেবক মিজানুর রহমান সুমন। তার দীর্ঘ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবমুখর ও আবেগঘন পরিবেশ।

বুধবার সকালে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের তালুককান্দির নিজ বাড়ি মাষ্টারবাড়িতে পৌঁছালে তাকে বরণ করে নিতে ছুটে আসেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

ফুলেল শুভেচ্ছা, মিষ্টিমুখ আর আনন্দমিছিলের মধ্য দিয়ে তাকে দেয়া হয় উষ্ণ সংবর্ধনা। এর আগে ভোরে স্ত্রী কল্পনা ও দুই কন্যা এনজেল ও আফরিনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সুমন।

এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। পরে মাষ্টারবাড়ি চত্বরে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বজন ও এলাকাবাসী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

স্থানীয়রা জানান, মিজানুর রহমান সুমন তালুককান্দি গ্রামের মরহুম আতাউর রহমানের ছেলে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। প্রবাসজীবনেও নিজ গ্রামের মানুষের পাশে ছিলেন অর্থ ও সহযোগিতার মাধ্যমে। তাঁর ফাউন্ডেশন ‘মাষ্টার বাড়ি ফাউন্ডেশন’ এরইমধ্যে অসচ্ছল শিক্ষার্থী, দুঃস্থ পরিবার এবং অসুস্থ রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভাই রাশেদ প্রধান বলেন, “সুমনের মতো প্রবাসীরা যখন দেশে ফিরে সমাজের পাশে দাঁড়ায়, তখন তা আমাদের তরুণদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকে। তিনি শুধু প্রবাসে ছিলেন না, দেশেও সবার পাশে থেকেছেন।”

সুমনের মেয়ে এনজেল ও আফরিন জানায়, “বাবার শৈশবের গ্রামের গল্প শুনেছি অনেকবার। এবার নিজের চোখে দেখার সুযোগ হলো, সেটা বাবার হাত ধরে।”

স্ত্রী কল্পনা বেগম বলেন, “স্বামীর অনুপস্থিতিতে কয়েকবার দেশে এলেও পরিবার একসাথে কখনো ফেরা হয়নি। এবার সেই স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে।”

মিজানুর রহমান সুমন বলেন, “জন্মভূমির টান কখনোই মুছে যায় না। মা-বাবাকে না পাওয়ার বেদনা থাকলেও এলাকাবাসীর ভালোবাসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ভবিষ্যতে শিক্ষা ও মানবসেবায় সক্রিয়ভাবে কাজ করতে চাই। ‘মাষ্টার বাড়ি ফাউন্ডেশন’-এর কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করবো ইনশাআল্লাহ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category