শিরোনাম :
নরসিংদীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, ৭ জন আটক নরসিংদীতে অভিনব কায়দায় লুকানো ৪৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার, মাদক কারবারি গ্রেফতার চরদিঘলদী ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক রশিদ মুন্সী সহ ৩ সদস্য কে কারণ দর্শানোর নোটিশ নরসিংদীতে তাওহীদ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর আলোকবালিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, আহত ১০ ৫ দফা ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে নরসিংদীতে জামাতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল নরসিংদীতে জুলাই শহীদ ডা. সজিবের কবর পাকাকরণে প্রভাবশালীদের বাঁধা রক্তাক্ত নরসিংদী ১০ দিনে ৭ খুন, আতঙ্কে সাধারন মানুষ নরসিংদীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় থেকে চুরি-ছিনতাই মামলার আসামির লাশ উদ্ধার নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংর্ঘষে নিহত ১ গুলিবিদ্ধ ৫
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন

নরসিংদীতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে স্ত্রীর মাথায় বন্ধুক রেখে মরদেহ ছিনতাইয়ের অভিযোগ

Reporter Name / ৭৫০ Time View
Update : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নিহত ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পান্থশালা ফেরিঘাট এলাকায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত তাজুল ইসলাম উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ বালুচর এলাকার মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি একজন মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন।

তাজুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “আমি স্বামীর মরদেহ নিয়ে থানায় যাচ্ছিলাম, ফেরিঘাটে হানিফ মাস্টারের লোকজন আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে লাশ নিয়ে যায়। এর আগেও তারা আমার স্বামীকে গুলি করেছিল। আজ মরার পরও শান্তি দিল না।”

জানা যায়, গত ২১ জুলাই সায়দাবাদ এলাকায় হানিফ মাস্টার ও এরশাদ মিয়ার অনুসারীদের সংঘর্ষে এক নারী নিহত হন। একই দিন তাজুল ইসলামকে মারধর করে গুলি করে প্রতিপক্ষ। গুরুতর আহত তাজুলকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

সোমবার ভোরে স্ত্রী মর্জিনা খাতুন মরদেহ নিয়ে রায়পুরায় ফিরছিলেন। ফেরিঘাটে এলে প্রতিপক্ষ অস্ত্রের মুখে মরদেহ ছিনিয়ে নেয় এবং পরে সেটি গোপনে মামা সেন্টুর বাড়িতে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আত্মীয়-স্বজনরা আত্মগোপনে চলে যায়।

বাঁশগাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আতিয়ার রহমান জানান, “মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের এক পায়ে প্লাস্টার ছিল। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের জসিম উদ্দিন এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে সায়দাবাদ এলাকায় হানিফ মাস্টার ও এরশাদ মিয়া গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন আটজন। উত্তপ্ত ওই এলাকায় এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category